প্রশ্ন ১. রক্তে বাফার ক্রিয়ার কৌশল ব্যাখ্যা করো?
উত্তর: বাফার দ্রবণ হওয়ায় pH = 7.4 মান স্থির থাকে। রক্তে ফসফেট (PO43- ) মূলক বাইকার্বনেট (HCO3–) মূলক ও প্রোটিন বাফার ক্রিয়ায় অংশ নেয়। জীবদেহের প্রোটিন বিভিন্ন অ্যামিনো এসিড দ্বারা তৈরি রক্তের বাফার ক্রিয়ায় বিভিন্ন নিয়ামকের ভূমিকা থাকলেও মুখ্য ভূমিকা পালন করে রক্তের বাইকার্বনেট কার্বনিক এসিডের বাফার।
রক্তে বাফার ক্রিয়ার কৌশল:
রক্তে H2CO3 নিম্নরুপে আয়নিত অরস্থায় বিরাজ করে।
H2CO3 → H+ + HCO3–
আমাদের দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় অনেক অম্ল জাতীয় খাদ্য (লেবু,আপেল, অঙ্গুর,অনারস ইত্যাদি) বর্তমান থাকে। অম্ল জাতীয় খাদ্য অধিক পরিমাণে গ্রহণের ফলে রক্তে কোনো এসিড জাতীয় দ্রবণ শোষিত হলে অর্থাৎ, H+ আয়ন শোষিত হলে তা নিম্নের কৌশল অনুসারে প্রশমিত হয়।
H+ + HCO3– → H2CO3
উৎপন্ন কার্বনিক এসিড (H2CO3) আবার পানি ও CO2 হিসেবে বিয়োজিত হয়।
H2CO3 → CO2 + H2O
ফুসফুসের মাধ্যমে প্রশ্বাসের সাথে নির্গত হয়। ফলে উৎপন্ন অম্লের – ক্রিয়া আর রক্তে থাকে না বলে রক্তের pH = 7.4 মানে নিয়ন্ত্রিত হয়।
অপরপক্ষে, রক্তে কোনো ক্ষারীয় দ্রবণ (যেমন- ঔষধরূপে ক্ষারধর্মী এন্টাসিড সিরাপ) শোষিত হলে শোষিত OH– মূলক রক্তের H2CO3 এর সাথে যুক্ত হয়ে HCO3– মূলক ও পানি উৎপন্ন করে।
OH– + H2CO3 → HCO3– + H2O
অতিরিক্ত শোষিত OH– এ প্রক্রিয়ায় রক্তে মিশে গিয়ে রক্তের pH মান 7.4 এর মধ্যে নিয়ন্ত্রিত রাখে।
শৃজনশীল প্রশ্ন:
CQ-2
মানবদেহের রক্তরসে বিদ্যমান এসিড ও এর লবণের মোলার ঘনমাত্রার অনুপাত যথাক্রমে 0.06 : 1 এবং রক্তের pH মান হলো 7.4। খাদ্যরূপে অম্লধর্মী ফলের রস এবং ঔষধরূপে ক্ষারধর্মী এন্টাসিড সিরাপ সেবনের পরও রক্তের pH মান সর্বদা স্থির থাকে। [য,বো, ১৯]
গ. উদ্দীপক অনুসারে রক্তরসে বিদ্যমান অল্পটির Ka এর মান নির্ণয় করো।
ঘ. উদ্দীপকের বর্ণনামতে pH মান স্থির থাকার কারণ বিশ্লেষণ করো।
ঘ) নং প্রশ্ন উত্তর:
[১ নং প্রশ্ন উত্তর এর অনুরুপ]
CQ-2