প্রশ্ন: পরিবৃত্ত তাপমাত্রা (circulating temperature) কী?
উওর : Na2SO4 এর ক্ষেত্রে তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে দ্রাব্যতা প্রথমে ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পায়। 32°C তাপমাত্রায় এর দ্রাব্যতা সর্বাধিক হয়। এই তাপমাত্রায় Na2SO4 দ্রবণে Na2SO4 .10 H2O হিসেবে থাকে। কিন্তু এই উচ্চ তাপমাত্রায় লবণটি অ্যানহাইড্রেটেড অবস্থায় Na2SO4 এ পরিণত হয় বিধায় তাপমাত্রা বাড়ালে Na2SO4 এর দ্রাব্যতা ধীরে ধীরে হাস পায় । আর্দ্র কেলাস হতে অনার্দ্র কেলাসে পরিণত হওয়ার কারণে দ্রাব্যতার এই ব্যতিক্রম রূপটি দেখা যায় । যে তাপমাত্রায় দ্রাব্যতা লেখচিত্রে এই ব্যতিক্রম দেখা যায় তাকে পরিবৃত্ত তাপমাত্রা বলে। যেমন- Na2SO4 এর ক্ষেত্রে পরিবৃত্ত তাপমাত্রা 32°C ।
প্রশ্ন: প্রতিপ্রভা (Fluorescence) কীভাবে সৃষ্টি হয়? ব্যাখ্যা ।
উওর : তড়িৎ চৌম্বকীয় রেডিয়েশনের অতিবেগুনি দৃশ্যমান অঞ্চলের তরঙ্গদৈর্ঘ্য পরিসর হলে 200 – 750 mn। কোন অণুতে এ অঞ্চলের রেডিয়েশন আপতিত হলে অণুর অভ্যন্তরস্থ ইলেকট্রনীয় শক্তিস্তরের পরিবর্তন সাধিত হয়। অণুস্থ বিভিন্ন ইলেকট্রন রেডিয়েশন শোষণ করে উচ্চতর শক্তিস্তরে উপনীত হয়। ইলেকট্রন যখন অস্থিতিশীল উত্তেজিত অবস্থা থেকে সুস্থিত পূর্বাবস্থায় ফিরে আসে,তখন শোষিত শক্তি প্রতিভা হিসেবে বিকিরিত হতে থাকে।
প্রশ্ন: অনুপ্রভা বা ফসফোরেসেল (Phosphottscence) কীভাবে সৃষ্টি হয়? ব্যাখ্যা ।
উওর : বিশেষ কিছু অণু বা পরমাণুর ওপর প্রতি আপাতিত করার অণুর উৎস বন্ধ করে দিলে পর কয় দিলে 10-8 -10 সেকেন্ড সময় কাল ধরে ঐ অণু বা পরমাণুর দৃশ্যমান অলো বিকিরন করে । ঐ অলোকে অনুপ্রভা বা ফসফোরেসেল বলা হয়। এক্ষেত্রে শক্তির উৎস বন্ধ করে দেয়ার পরও কয়েক সেকেন্ড থেকে কয়েক ঘন্টা ধরে অণু বা পরমাণু থেকে বিকিরণ নির্গত হতে থাকে। মৃৎক্ষার ধাতু সালফাইড যেমন- CaS, MgS, BaS অনুপ্রভা সৃষ্টি করে।
প্রশ্ন: স্বত্বঃপ্রভা (Luminescnce) কীভাবে সৃষ্টি হয়? ব্যাখ্যা ।
উওর : কোনো পদার্থের ওপর তাপ বা আলো পতিত হলে তা শোষিত হয়। শোষিত এ তাপ বা আলোকির শক্তির প্রভাবে পদার্থের অণু ও পরমাণুগুলো উত্তেজিত হয়। উত্তেজিত পরমাণুর বহিস্থ স্তরের ইলেকট্রনগুলো পূর্ববস্থায় ফিরে আসলে দৃশ্যমান আলোকরশ্মির বিকিরণ ঘটে। উত্তেজিত অবস্থায় অণু বা পরমাণুর অন্য কোনো অণু বা সাথে সংঘর্ষের কারণে এরূপ হয়। প্রায় সব ক্ষেত্রেই শোষিত এ তাপ ও আলোকরশ্মির শক্তি পুনরায় তাপ ও অলোকশক্তি হিসেবে বিকিরিত হয়।
যে সব পদার্থ সাধারণভাবে আলোক-রাসায়নিক বিক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে না, সেসব ক্ষেত্রে শোষিত আলোকশক্তি পুনরায় বিকিরিত হয়। পদার্থ তখন স্বতঃপ্রভা বা দীপ্তিময়তা প্রদর্শন করে। পদার্থের এ ধরনের আলোক বিকিরণকে স্বতঃপ্রভা বলা |
যেমন তেজস্ক্রিয় পদার্থ রেডিয়াম ও জিঙ্ক সালফাইড (ZnS) এর মিশ্রণ স্বতঃপ্রভা পদার্থ এ স্বতঃপ্রভা মিশ্রণ দিনের আলো শোষণ করে এবং রাতের অন্ধকারে স্বতঃস্ফূর্তভাবে সে শোষিত আলোকে বিকিরিত করে। হাত ঘড়ি, কাল ঘড়ি, মিটার বক্সে রেডিয়ামের ডায়াল থাকে, সে কারণে রাতের অন্ধকারে এটি উজ্জ্বল দেখায়। এ বিকিরিত আলোর ভাবে সঠিকভাবে সময় ও পাঠ দেখা যায়।
প্রশ্ন: NMR কী?
উওর : NMR হল Nuclear Magnetic Resonance বা পারমাণবিক চৌম্বকীয় অনুরণন বর্ণালীকপি, যা সাধারণত এনএমআর স্পট্রোস্কোপি বা চৌম্বকীয় অনুরণন বর্ণালী ( এমআরএস ) নামে পরিচিত । এটি একটি পারমাণবিক নিউক্লিয়ার চারপাশে স্থানীয় চৌম্বকীয় ক্ষেত্রগুলি পর্যবেক্ষণ করার জন্য একটি বর্ণালী প্রযুক্তি ।
প্রশ্ন: বর্ণালি (Spectrum) কী?
উওর : বর্ণালি (Spectrum). আলোক বিচ্ছুরণের ফলে সৃষ্ট উপাদান বর্ণগুলোর সমাবেশকে বর্ণালি (Spectrum) বলে।